বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন

কুলিক নদী যেন শিল্পীর তুলিতে আকাঁ নিঃস্বর্গ!

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি::

বাংলাদেশের সু-দৃশ্যমান একটি নদীর নাম কুলিক। সর্ব উত্তরে যার ঠিকানা। মিশে আছে ঠাকুরগাঁও জেলার মানুষের প্রাকৃতিক কলরবে। এ জেলার সহজ সরল মানুষের সু-দৃষ্টিতেই অপরুপ মহিমায় শান্ত নদীটি সবার কাছেই যেন হৃদয়ের মনিকোঠায় স্থান দখল করে রেখেছে। এই ছোট্র নদীটি দেখতে যেন কোন শিল্পীর তুলিতে আকাঁ নিঃস্বর্গ। কেউ কেউ ধারনা করেন, ঠাকুরগাঁওয়ের পূর্নভবা নদী থেকে তিনটি শাখা বের হয়ে টাঙ্গন, কুলিকি ও নাগর নদীর জন্ম। অপরদিকে, বালিয়াডাঙ্গীতে তীরনয় নদীটিও ভারত থেকে এসেছে। ছোট জেলা হিসেবে ঠাকুরগাঁওয়ের পরিচিতি থাকলেও এ জেলায় যেন নদীর মেলা বসেছে। এমনি ভাবে আঁকা বাকা মাঠ ঘেষে কুলিক নদীর বসবাস। তাই হয়ত এলাকার মানুষ ভালবাসে প্রকৃতি, ভালবাসে নদী।

কুলিক নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গ দিয়ে প্রবাহিত একটি নদী। নদীটি বাংলাদেশের উত্তরাংশের ঠাকুরগাঁও উপজেলা ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বিল এলাকা থেকে উৎপন্ন হয়েছে বাংলাদেশের হরিপুর উপজেলার বাংলাদেশ অংশে পড়েছে। বাংলাদেশের প্রবাহপথে বালিয়াডাঙ্গী, রানীশংকাইল ও হরিপুর উপজেলা রয়েছে। নদীটির দৈর্ঘ্য বাংলাদেশ অংশে ৩০ কি.মি. এবং ভারতের অংশে ১১ কিমি। নদীটির ভুটডাঙ্গী এলাকায় প্রস্থ ১০০ মিটার এবং সেখানে এর গভীরতা ৩০ মিটার। আর নদী অববাহিকার আয়তন ১৫০ বর্গকিমি। নদীটিতে সারাবছর পানিপ্রবাহ থাকে। এপ্রিল মাসের দিকে শুকনো মৌসুমে প্রবাহ কমে যায়। আগস্ট মাসের বর্ষা মৌসুমে যখন পানিপ্রবাহ সর্বোচ্চ হয়, তখন পানিপ্রবাহের পরিমাণ হয় ১১৫ ঘনমিটার। এই নদীতে জোয়ার ভাটার প্রভাব একেবারেই নেই। তবে এ এলাকার মানুষের প্রাণের দাবী কুলিক নদীকে খনন করে নৈঃস্বর্গীক প্রানবন্ত রুপে দৃশ্যমান করে রাখা হোক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com